এবার ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ৯ ম্যাচের ৭টিতেই পরাজিত হয়েছে টাইগাররা, হেরেছে বাছাইপর্ব খেলে এক যুগ পর বিশ্বমঞ্চে খেলতে আসা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও। এর পিছনে পুরো বিশ্বকাপেই ব্যাটিং অর্ডারের ব্যর্থতায় ভুগছে বাংলাদেশ। আসর জুরে এক রিয়াদ বাদে কেউই ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি।
তাই ২০২৭ বিশ্বকাপে আগে দলকে ঢেলে সাজাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট। ফলে পাপলাইন থেকে শুরু করে ফর্মে না থাকা ক্রিকেটারদের সুযোগ থাকছে নিজেকে প্রমান করার জন্য। এ নিয়ে আজ ব্যক্তিগত অনুশীলনের পর মিরপুরে হোম অব ক্রিকেটে কথা বলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মোসাদ্দেকের শেষ ম্যাচ গেল বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এরপর থেকেই আছেন ফেরার লড়াইয়ে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে তিনি এখন আর বিবেচিত নন। টিম কম্বিনেশনের কারণে তার বাদ পড়া, এই নিয়ে আছে আক্ষেপও। তবে মোসাদ্দেক আবারও সুযোগের অপেক্ষায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘একটু কঠিন আসলে একা একা অনুশীলন করা। এখন মিরপুরে আমরা অনুশীলন করতে পারছি। কোচিং স্টাফ হয়ত সবাই নেই। ইফতি ভাই আছে, ফিজিও হিসেবে সানি ভাই আছেন। উনাদের সাথে কাজ করছি। চেষ্টা করছি আমাদের কিছু থ্রোয়ার আছে তাদের নিয়েই কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আগে তো ফিট হতে হবে। রিকভার করতে হবে। অবশ্যই কাজ করছি জাতীয় দলে খেলার জন্যই। কোনো একটি টুর্নামেন্টকে লক্ষ্য করে শুরু করে সেখানে ভালো করে জাতীয় দলে ফেরা। সেখানে ফিট হওয়া, কাজ করা, চেষ্টা করা সবকিছু জাতীয় দলের জন্যই। যত ভালো সার্ভিস জাতীয় দলকে দিতে পারি এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে দলকে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সামনে ভালো করে দলকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এদিকে দলের বাইরে থাকা, আর খারাপ লাগা নিয়ে মোসাদ্দেকের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘আসলে বেশি ম্যাচ খেলতে পারলে হয়ত ভালো পারফরম্যান্স আসত। কারণ তখন অনেক ভালো ছন্দে ছিলাম, ভালো খেলছিলাম। হয়তবা টিম কম্বিনেশনের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিলাম। এখন চেষ্টা করছি আবার ফেরার। সুযোগ পেলে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করব।’